
আগে মনে করা হতো পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রাসাইটিস হয়ে থাকে মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ঝালযুক্ত খাবার বা পাকস্থলীতে অধিক অম্ল নিঃসরনের কারনে কিন্তু ব্যারি মার্শাল এবং রবিন ওয়ারেন কিছু রোগীর বায়োপসি করতে গিয়ে আবিষ্কার করেছন এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যেগুলো কিনা পাকস্থলীর প্রচন্ড অম্লীয় পরিবেশেও বেঁচে থাকতে সক্ষম, বিষয়টি তাদের কাছে অবাক এবং অদ্ভুত লেগেছিল। ব্যাকটেরিয়া গুলো দেখতে সর্পিলাকার এবং মার্শাল তাদের নাম দেন Helicobacter pylori (হ্যালিকোব্যাক্টার পাইলোরি)
মার্শাল ভাবতে লাগলেন যে ব্যাকটেরিয়া গুলো যদি আলসার তৈরির প্রধান কারণ হয় তাহলে নিশ্চয়ই এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার এর মাধ্যমে তা নিমূল করা সম্ভাব হবে৷ এবং তিনি কয়েকজন আলসার রোগীকে এন্টিবায়োটিক ও বিসমাথ প্রয়োগে সুস্থও করে তুলেছিলেন, কিন্তু তৎকালীন চিকিৎসকগণ তা মানতে নারাজ ছিলেন, তারা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতিই প্রমান করে না যে, তা আলসার তৈরির জন্য দায়ী, কারণ পাকস্থলীর এত অম্লীয় পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। আর থাকলেও সেগুলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর নয়।
এরপর মার্শাল নিজেই Helicobacter pylori ব্যাকটেরিয়া স্যুপের সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলেন এবং কয়েক দিনের মাধ্যেই পেপটিক আলসারে আক্রান্ত হন এবং বায়োপসিতে তার পাকস্থলীতে Helicobacter pylori ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়, এরপর তিনি নিজেই এন্টিবায়োটিক প্রয়োগের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন।
১৯৯৪ সালে National Institute of Health তার এই আবিষ্কারকে সীকৃতি দেন এবং তার এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের জন্য ২০০৫ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যারি মার্শাল কে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
তথ্যসূত্রঃ
https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC2661189/
মাইমুন নাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বায়োডেইলি।