
জিনগত অস্বাভাবিকতার কারণে সৃষ্ট সিকেল সেল রোগটি ৭০ বছর আগে বায়োমেডিকেল রিসার্চে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলোতে বায়োমেডিকেল রিসার্চ রোগটির চিকিৎসাপদ্ধতি তেমন উন্নতি করতে না পারায় অনেক রোগীর ক্ষেত্রেই তীব্র ব্যথা, অকাল মৃত্যু দেখা যায়। “একটা দীর্ঘ সময় জুড়ে সিকেল সেল রোগের কোন চিকিৎসা ছিল না”, বলেছেন মেরিল্যান্ডে US National Human Genome Research Institute এর Health Disparities Unit এর প্রধান ভেন্স বোনহাম। সিকেল সেল রোগের চিকিৎসায় প্রথম ওষুধ অনুমোদিত হয় ১৯৯৮ সালে।
জিন থেরাপি গবেষণার সাম্প্রতিক অগ্রগতি সিকেল সেল রোগের প্রতিকারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির আশা দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। বর্তমানে জিন থেরাপির অন্তত ১০টি ট্রায়াল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং পূর্বের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বলা যায়, এই ট্রায়ালগুলো সফল হলে সিকেল সেল এনিমিয়ার দীর্ঘমেয়াদি নিয়ন্ত্রণ এবং রোগীদের জীবনমান উন্নত করা সম্ভব হবে।
বেশ কিছু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, জিন থেরাপি বা CRISPR-Cas9 জিন এডিটিং টেকনোলজির মাধ্যমে সিকেল সেল এনিমিয়ায় জিনগত পরিবর্তনের ফলে যেসব ক্ষতি হয়, সেগুলোর প্রতিকার সম্ভব হবে। সবচেয়ে আশার কথা হল, সম্ভাব্য একটি চিকিৎসা পদ্ধতি haematopoietic stem cell (HSC) transplantation, যেটি বর্তমানে গবেষণা পর্যায়ে আছে, সেটির ক্রমধারার (protocol) মধ্যেই জিন থেরাপিকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: Gene therapies close in on a cure for sickle-cell disease
পঙক্তি আদৃতা বোস
শিক্ষার্থী,
জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।