
উত্তর-পশ্চিম ইরানের চেহরাবাদগ্রামের পাশেই একটি প্রাচীন লবণের খনি থেকে একটি ভেড়ার পা এর মমি অক্ষত পাওয়া গিয়েছে। ভেড়ার মমির ত্বকটি প্রায় ০.৬ বর্গ ইঞ্চি (৪ বর্গ র্সেন্টিমিটার) পুরু।
১৯৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত এই খনি থেকে মানুষের ৮টি মমি উদ্ধার করা হয়েছে যার মধ্যে বেশ কয়েকটির ত্বক এবং চুল এখনো অক্ষত রয়েছে। এসব মমি প্রায় ১৩০০ থেকে ২৫০০ বছর পুরনো ।
একজন গবেষক বলেন, “ভেড়ার মমিটির ডিএনএ পরীক্ষার পাশাপাশি মমিতে উপস্থিত লবণ-প্রেমী জীবাণুগুলির জিনগত উপাদানও পরীক্ষা করা যায়। তাছাড়া মমিটির ডিএনএ অণুগুলো এমনভাবে সংরক্ষিত ছিল যে এত পুরনো হওয়ার পরেও এটি একটুও খণ্ডিত হয় নি বা ভেঙে যায় নি”।
ডিএনএ ভেঙে ফেলে এমন এনজাইমগুলো সাধারণত পানির উপস্থিতি ছাড়া বিক্রিয়া করতে পারে না এবং স্যাপ্রোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া এই এনজাইমগুলো ব্যবহার করে মাংসের অণুগুলো টুকরো টুকরো করে ফেলার জন্য।
লবণের খনিতে অস্বাভাবিকভাবে লবণ-প্রেমী ব্যাকটেরিয়া তো ছিল ঠিকই কিন্তু স্যাপ্রোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ছিল না। ফলে এটির মাংসগুলো টুকরো টুকরো হয়ে নষ্ট হয়ে যায় নি । বিজ্ঞানীরা এর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এটিকে পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতাব্দীর ধারণা করছেন । কার্বন ডেটিং ব্যবহার করে অনুমান করা হচ্ছে যে পাটি প্রায় ১৬০০ বছর পুরনো।
নাবিলা রব
নিজস্ব প্রতিবেদক, বায়ো ডেইলি
সূত্রঃ