
বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের সংখ্যা ৮.৮ মিলিয়নে পৌঁছেছে। ইউনেস্কোর এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্থনীতির তুলনায় গ্লোবাল R&D ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বজুড়ে ১৯৩টি দেশ সবুজ এবং ডিজিটাল ট্রানজিশনকে লক্ষ্যে রেখে গবেষণার দিকে বেশি অগ্রসর হচ্ছে।
এ চার বছরে বিশ্বব্যাপী গবেষণাখাতে ব্যয় হয়েছে ১৯% এবং বিজ্ঞানীদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৩.৭%। চীন ও আমেরিকা একসাথে গবেষণাখাতে ব্যয় বৃদ্ধির হার ৬৩% এবং ইইউ দেশগুলোতে এ বৃদ্ধির হার আরও ১১% বেশি। জি-২০ দেশগুলিতে গবেষক পেশার হার ৮৮.৮%, গবেষণাখাতে ব্যয় ৯৩.২% এবং বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার হার ৯০.৬%।
২০২০ সালের শুরু থেকে COVID-19 মহামারী গবেষণার প্রবণতা আরও কয়েকধাপ বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করা হয়। প্রতিযোগিতা এবং ভবিষ্যতের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি অনুন্নত দেশগুলোও ডিজিটাল এবং সবুজ R&I বিনিয়োগে প্রাধান্য দিচ্ছে যদিও বৃদ্ধি হার অসম।
সবুজ প্রযুক্তি যদিও পরিবেশবান্ধব, পুনর্ব্যবহারযোগ্য তবুও অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো নিজেদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজ্যান্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স এর মতো ডিজিটাল প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার হার এখনও ডিজিটাল গবেষণার থেকে এগিয়ে। ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য নিয়ে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার হার ৩৪% আর ডিজিটাল খাতে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার হার ১৮% যা পরবর্তীতে আরও বাড়বে বলে দাবি করা হয়েছে।
বেসরকারী খাতে গবেষণা অংশে ব্যয় সরকারি খাতের থেকে তুলনামূলকভাবে কম। বেসরকারী খাতে গবেষণা অংশটিতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার একটি উপায় হল R&D ট্যাক্স ক্রেডিট। যেমন, ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়া গবেষণা ব্যয়ের উপর ৩০০% কর হ্রাস করেছিল। অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো এ পন্থা অবলম্বন করে গবেষণা ল্যান্ডস্কেপে তাদের পদচিহ্নগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ইতোমধ্যে, উন্নয়নশীল দেশগুলো বেসরকারি খাতে তাদের আউটপুট বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলোতে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র । ২০১৫ থেকে ২০১৮ এর মধ্যে, উচ্চ আয়ের দেশগুলির বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার হার ৬৯.৩% থেকে সঙ্কুচিত হয়ে ৬২.৯% হয়েছে। অন্তঃশৃঙ্খল কৌশলগত প্রযুক্তিগুলিতে, শেয়ার এর পরিমাণ ৬০.৫% থেকে ৫২.২% এ হ্রাস পেয়েছে।

“বিজ্ঞানকে অবশ্যই আরও সহযোগী এবং আরও বেশি উন্মুক্ত করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস, সামুদ্রিক দূষণ এর মতো মহামারী সমস্যা সমাধানে বিশ্বজুড়ে গবেষকদের একত্র হয়ে কাজ করতে হবে”।
আফিয়া ইমরাদ তাহাসিন, সাদিয়া জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বায়ো ডেইলি