
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ গিনি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে দেশকে মাত্র মাস দুয়েক আগে ইবোলা ভাইরাস মুক্ত ঘোষণা করেছে। কিন্তু কী হবে তাতে? পৃথিবীবাসী যেখানে এখনও করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করে নিজেদের কোভিড-১৯ থেকে নিরাপদ করতে পারেনি, সেখানে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন নতুন আরেক ভাইরাসের দুঃসংবাদ; যে ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার ৮৮ শতাংশ।
ইবোলা ভাইরাসের মত বেশি সংক্রামক এই মারবার্গ ভাইরাসের রোগী প্রথমবারের মতো গিনিতে পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে গত ২৫ শে জুলাই ঐ ব্যক্তির শরীরে প্রথম এই ভাইরাসের শনাক্ত করা হয়। তারপর তিনি ১ আগস্ট স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন আর ঠিক তার পরদিনই মারা যান।
১৯৬৭ সালের জার্মানির মারবার্গ শহরে এই ভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা হয় ,তাই শহরের নাম অনুসারে মারবার্গ ভাইরাস। এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোন টিকা বা চিকিৎসা নেই। এর উৎপত্তি সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছেন তা হল রাতের অন্ধকারে বাদুড়ে খাওয়া কোনো ফল যা কিনা পরে কোন মানুষ খেয়েছে। এ রোগের লক্ষণসমূহ হচ্ছে প্রচন্ড মাথা ব্যথা, জ্বর এবং রক্তক্ষরণ।

ইবোলা ভাইরাসের সব কয়টি লক্ষণ মারবার্গ ভাইরাসে আছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে প্রদাহের জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং জ্বর আসে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সাধারণত বাঁচে না। তবে প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালো ফলাফল দিলে দিতে পারে। এটি ভয়াবহ সংক্রামক ভাইরাস। ডক্টর ম্যাটস সিদিসো বলেছেন, ‘ভয়াবহ ভাইরাসটি যাতে ছড়িয়ে যেতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে’।
নাবিলা রব
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ