
করোনা ভাইরাসের সাথে মাঙ্কিপক্সের পর এবার আরেক নতুন আতঙ্ক মারবার্গ ভাইরাস। ইতিমধ্যে আফ্রিকার দেশ ঘানায় মারবার্গ ভাইরাসের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্ক বার্তা , সাবধান না হলে খুব অল্প সময়ের মাঝে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এই ভাইরাস। চলুন জেনে নেয়া যাক এই ভাইরাসটি আসলে কী? কতটা ভয়ঙ্কর? আর এই ভাইরাসটি কীভাবে ছড়ায়-

মারবার্গ ভাইরাস হলো ফিলোভিরিডি পরিবারের হেমোরেজিক ফিভার ভাইরাস যা মারবুর্গ ভাইরাস প্রজাতির সদস্য।এটি অতি বিরল এবং সংক্রামক হেমোরেজিক জ্বর যার মৃত্যুহার এখন পর্যন্ত ৮৮℅।
১৯৬৭ সালে জার্মানির মারবার্গ, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং সারভিয়ার বেলগ্রেড-এ এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রথম সনাক্ত করা হয়।
উগান্ডা থেকে আমদানি করা আফ্রিকান সবুজ বানরের মধ্যে প্রথম এই ভাইরাস লক্ষ্য করা হয় তবে পরবর্তীতে অনান্য প্রানীতেও এই ভাইরাসের উপস্তিতি লক্ষ্য করা হয়।
লক্ষণসমূহঃ
ভাইরাসটির দুই থেকে ২১ দিনের ইনকিউবেশন পিরিয়ডের পর হঠাৎ করে শুরু হয় উচ্চজ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা এবং রক্তবমি।
লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার আট থেকে নয় দিন পর চরম রক্তক্ষরণ বা শক সাধারণত মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ।
কিভাবে ছড়ায়ঃ
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মিসরিও রুসেট নামক একধরনের ফল আহারি বাদুড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস বহন করে। তবে আফ্রিকান সবুজ বাদুড় এবং শুকরও এই ভাইরাস বহন করে থাকে। একবার একজন ব্যক্তি মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, এটি তার রক্ত, লালা, ঘাম, বীর্য, বমি, অ্যামনিওটিক তরল এবং বুকের দুধের সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চিকিৎসাঃ
এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা বা ওষুধ আবিষ্কার করা হয়নি।WHO বলছে, রক্তের বিভিন্ন উপাদান ওষুধ এবং রোগপ্রতিরোধ থেরাপি তৈরি করা হচ্ছে এর চিকিৎসায় এছাড়া চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগীদের প্রচুর পরিমানে তরল খাবার দিয়ে এবং হারানো রক্তের যোগান দিয়ে রোগীর উপসর্গ গুলো কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে