
এই জগতে ক্ষুদ্র বলে যাদেরকেই তুচ্ছ করা হয় তারাই অনেক সময় সমগ্র প্রাণীকুলদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনি, আজ এমন এক সত্তাকে নিয়ে আলোচনা করা হবে যার বসবাস মিলিমিটার স্কেলের প্রাণীর মধ্যে হলেও এ পর্যন্ত লক্ষাধিক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
ম্যালেরিয়া, যার উৎপত্তি মশার শরীরে, খুবই ভয়ানক একটা রোগ। যাকেই একবার আক্রমন করে তার শারীরিক অবস্থার বেশ অবনতি হয়, এমনকি মৃত্যুবরণ করেছেন অনেকেই। কিন্তু, সব মশাই কী ম্যালেরিয়ার বাহক? মোটেই নয়। কেবলমাত্র এক প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশা থেকেই এই ভয়ঙ্কর সত্তার ছড়াছড়ি। Genus anopheles নামক মহিলা অ্যানোফিলিস মশাই এই রোগের বাহক। এই রোগ যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি এর জীবনচক্রও অত্যন্ত জটিল।
উপরের চার্ট থেকে দৃশ্যমান যে, আসলে এই ভয়ঙ্কর সত্তার জীবনচক্র অত্যন্ত জটিল এবং মানব-দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যকৃত কে টার্গেট করে তার আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে। ব
ম্যালেরিয়া রোগের লক্ষণঃ
⚠ তীব্র জ্বর অনুভূত হয়।
⚠ ফ্লু টাইপ এর সংক্রমণ দেখা যায়।
⚠ বিতৃষ্ণাবোধ পরিলক্ষিত হয়।
⚠বার বার বমি হয়।
⚠অনেক সময় অ্যানিমিয়া ও জন্ডিস রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
⚠যকৃৎ এর কার্যক্রম ব্যহত হয়।
⚠অনেক সময় মৃত্যুর কারণ ও হতে পারে।
ম্যালেরিয়া রোগের রিস্ক ফ্যাক্টর এর ওপর অনেক গবেষণা করে এটা প্রতীয়মান হয় যে, শিশু ও মহিলারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে।
কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করা যেতে পারে। যেমনঃ
১। নিজের শরীরকে ঢেকে রাখাঃ যতটা সম্ভব ফুল প্যান্ট ও ফুল শার্ট পরিধান করার চেষ্টা করতে হবে।
২। স্কিন রিপেলেন্ট ব্যবহার করাঃ যেকোনো উন্মুক্ত ত্বকে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার কাছে নিবন্ধিত একটি পোকা প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। এর মধ্যে রয়েছে ডিইইটি, পিকারিডিন, আইআর 3535, লেবুর ইউক্যালিপটাসের তেল (ওএলই), প্যারা-মেনথেন -3,8-ডিওল (পিএমডি) বা 2-আনডেকানোন।
৩। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।
যদি কোনো কারণে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে পরামর্শ থাকবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর নিকট থেকে চিকিৎসা নিন।
Tritha Deb Nath
https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/malaria/symptoms-causes/syc-20351184