
এই গোলাকার পৃথিবীতে যত না মানুষ রয়েছে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি রয়েছে ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাস, সেই সাথে রয়েছে পানিবাহিত ও মশা বাহিত রোগ । পৃথিবীবাসী এখন করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে ব্যস্ত ঠিক এমন সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে ম্যালেরিয়ার টিকার । যার প্রচলিত নাম মসকুইরিস্ক ।
এই ম্যালেরিয়া রোগে প্রতি বছর চার লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় । ১৯৮৭ সালে প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জিএসকে এই টিকা তৈরি করেছিল । ২০১৯ সাল থেকে “পাইলট প্রজেক্ট” নামে একটি কর্মসূচিতে ২০ লাখের বেশি টিকা ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউই এ পরীক্ষামূলক ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সাব সাহারান আফ্রিকায় শিশুদের অসুস্থতা এবং মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো ম্যালেরিয়া। এ অঞ্চলে প্লাজমোডিয়াম ফলসিপরাম এর হার অনেক বেশি। শুধুমাত্র আফ্রিকায় প্রতি বছর পাঁচ বছরের নিচে আড়াই লাখের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় ম্যালেরিয়ায় ।
পাঁচ মাস বয়স থেকে ম্যালেরিয়ার টিকা গ্রহণ করতে পারবে শিশুরা এবং ৪টি ডোজ গ্রহণ করতে হবে। WHO এর মহাসচিব বলেছেন “এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। শিশুদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত এই ম্যালেরিয়ার টিকা বিজ্ঞান, শিশু স্বাস্থ্য এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে । ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে বিদ্যমান মাধ্যমগুলোর সাথে এই টিকা গ্রহণ করে প্রতিবছর হাজার হাজার তরুনের জীবন বাঁচবে । তবে টিকার পাশাপাশি মশারি ও অন্যান্য ব্যবস্থাও প্রয়োজন ।
নাবিলা রব
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
তথ্যসূত্র: https://www.nytimes.com/2021/10/06/health/malaria-vaccine-who.html