
বিজ্ঞানীরা কিডনী বিকলের চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন সংযোজন এনেছেন তা হলো কৃত্রিম জৈবিক বৃক্ক প্রতিস্থাপন।
কৃত্রিম বৃক্ক তৈরীর মূল উদ্দেশ্য ছিল বৃক্ক ডায়ালাইসিস রোগীদের ডায়ালাইসিস মেশিন এবং কিডনি প্রতিস্থাপনের দীর্ঘ প্রতীক্ষা দূর করা। এ বৃক্ক দেখতে ঠিক আমাদের হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্টফোনের মতো।
গবেষকরা এখানে দুটো গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে দিয়েছেন। একটি হচ্ছে হেমোফিল্টার আরেকটি হচ্ছে বায়োরিয়েক্টর । এই হেমোফিল্টার রক্তের বর্জ্য পদার্থ ও দূষিত পদার্থ অপসারণ করে এবং প্রতিক্রিয়া তৈরির অংশটি নিয়মিত রক্তে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য ঠিক রাখার কাজ করে।
রক্ত হেমোফিল্টার দিয়ে যায় এবং একটি তরল তৈরি করে যাতে শর্করা, লবণ এবং দ্রবীভূত অন্যান্য দূষিত তরল পদার্থ থাকে। বায়োরিয়েক্টর ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় সব কিডনি কোষ তৈরি করে এবং হেমোফিল্টার এ তৈরিকৃত তরল বিশোধন করে হয়েছিলো এবং রক্তে চিনি ও লবণ ফিরিয়ে দেয়। তারপর পানি আবার শরীরে শোষিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত তরল পদার্থ মূত্রাশয়ে পাঠায়।
কৃত্রিম বৃক্ক একজন বৃক্ক বিকলের রোগীকে শুধুমাত্র ডায়ালাইসিস করা থেকে মুক্তি দেয় না বরং তাকে একজন সুস্থ মানুষের মত চলাচলের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেয় । কৃত্রিম বৃক্ক প্রতিস্থাপনের পর রোগীকে ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে তবে ওষুধের সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
নাবিলা রব
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি