
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে টিকা দেওয়ার ফলে SARS -CoV-2 এর বিরুদ্ধে এন্টিবডি গুলো উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। বুকের দুধ খায় এমন কোন বাচ্চার মা যখন করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করে, তখন বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে ও কোভিড -১৯ এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
যখন শিশুরা জন্মগ্রহণ করে তখন তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকে, যার ফলে যেকোনো ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে । নির্দিষ্ট কোন ভ্যাকসিন খুব কম বয়সী বাচ্চাদের শরীরে কাজ করেনা । এই দুর্বল সময়ে মায়েদের বুকের দুধই শিশুদের শরীরে “প্যাসিভ ইমিউনিটি” প্রদান করে।
এখন বুকের দুধকে একটি উপকরণ বাক্স ভাবুন, যা বিভিন্ন উপকরণ দ্বারা পরিপূর্ণ এবং এর প্রতিটি উপাদান একটি শিশুকে পরিপূর্ণ জীবনের জন্য তৈরি করতে সাহায্য করে। এখন শিশুর মা যখন কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ করলো তখন সেই উপকরণ বাক্সে নতুন আরেকটি উপকরণ যুক্ত হলো, যেটি কোভিড -১৯ প্রতিরোধে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। তাই বলা যায়, ভ্যাকসিনগুলো মা এবং শিশু উভয়কে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
গবেষকগণ তাদের গবেষণার জন্য কিছু স্তন্যদানকারী স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিয়োগ করেছিলেন, যাদের কখনো কোভিড -১৯ হয়নি। গবেষকরা মায়ের বুকের দুধ এবং রক্তের নমুনা তিনবার নিয়েছেন। প্রথমবার ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে, দ্বিতীয়বার প্রথম ডোজ এর পর এবং শেষবার দ্বিতীয় ডোজ এর পর। দ্বিতীয় ডোজের পর তারা রক্ত এবং বুকের দুধে একটি শক্তিশালী এন্টিবডির প্রতিক্রিয়া দেখেছেন, যা ভ্যাকসিন দেওয়ার আগের মাত্রার তুলনায় শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞানী ভালকার্স বলেন, শিশুদের সুরক্ষার জন্য মায়েদের টিকা দেওয়া নতুন কিছু নয়। সাধারণত গর্ভবতী মায়েদের হুপিং কাশি এবং ফ্লর জন্য টিকা দেওয়া হয়, কারণ এই রোগগুলি শিশুদের মারাত্মক অসুস্থতায় ভোগায় । শিশুদের ও কোভিড -১৯ হতে পারে, তাই মায়েদের কোভিড -১৯ এর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
নাবিলা রব
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি