
AlphaFold2 হল একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়্যের যা প্রোটিনের গঠন সম্পর্কে পূর্বাভাস দেয়। সম্প্রতি আবিষ্কৃত এ প্রোগ্রামটি তুলনামূলকভাবে খুবই নিখুঁত ফলাফল দেয় বলে দাবি করেন গবেষকগণ।
AlphaFold2 এর প্রথম সংস্করণ AlphaFold ও অনেক চিত্তাকর্ষক ছিল। তবে আগের প্রোটিন কাঠামোর তথ্য বের করা অনেক কঠিন ছিল। যেমন, যেকোনো প্রোটিনের জন্য বিশাল আকারের সংখ্যা থাকতো কিন্তু বেছে নিতে হতো একটি অ্যালগরিদম,পরিচিত প্রোটিন কাঠামোর সংখ্যা কম ছিল, তথ্য স্বল্পতা ছিল, অভ্যন্তরীণ নিয়মগুলো বায়োফিজিক্স এর সাথে মিলিয়ে দেখা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ ছিল।
নতুন AlphaFold2 নকশার কেন্দ্রবিন্দু হল মেশিন লার্নিং ফ্রেমওয়ার্ক। যা একটি কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক নামে পরিচিত ।যেটা কিনা প্রোটিন অনুর বেশি দূরত্বের এবং অল্প দূরত্বের আন্তঃআণবিক শক্তি বিবেচনা করে।
ডিপ মাইন্ড ঘোষণা করেছে তারা মানুষসহ ২০ টি মডেল প্রাণীর প্রোটিওমে AlphaFold2 ব্যবহার করেছে। Tunyasuvanakool নামক গবেষণাপত্র এ বলা হয়েছে মোট ২৩,৩৯১ টি প্রোটিন এর জন্য AlphaFold2 ব্যবহার করা হয়েছে , যেগুলো কিনা প্রায় সব মানুষের প্রোটিন কাঠামোর তথ্য দিতে পারে l এটির তিনটি বৈশিষ্ট্য বিজ্ঞানীদের অনেকটুকু পথ সামনে নিয়ে এসেছে –
- অল্প সময়ে অনেক প্রোটিন এর কাঠামো সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে সক্ষম।
- নিখুঁত পূর্ভাবাস যা বিজ্ঞানীদের নিদিষ্ট অঞ্চল সম্পর্কে অনুমান করতে সাহায্য করে;
- AlphaFold2 সব ধরনের প্রোটিনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যার মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রোটিনের গঠন উন্মোচন অন্যতম।
ক্রায়ো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি পরীক্ষা থেকে AlphaFold2 এর ক্রিস্টালোগ্রাফিক প্রোটিন কাঠামো পাওয়া গেছে । একটি স্থির প্রোটিনের পৃষ্ঠ বা তল কিভাবে একে অপরের সাথে যুক্ত এবং তাদের অভ্যন্তরীণ আন্তঃআণবিক শক্তি কি রকম তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো গবেষণা করে যাচ্ছেন।
নাবিলা রব
বিশ্ববিদ্যালয়:ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ