
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কোভিড-১৯ এর ভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম অন্তত সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত স্থগিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
গত ৪ আগস্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রিয়েসাস একথা জানান। তিনি বলেন, “করোনার ডেলটা ভ্যারিয়্যান্ট থেকে জনগনকে বাঁচানোর জন্য সব সরকারের উদ্বেগ আমি বুঝতে পারি। কিন্তু যেসব দেশ বিশ্বে উৎপাদিত ভ্যাক্সিনের অধিকাংশই ব্যবহার করেছে এখনো তারা সেটা করবে এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।”
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে প্রতি ১০০ জন নাগরিকের জন্য মে মাস পর্যন্ত প্রায় ৫০ ডোজ ভ্যাক্সিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এখন এই পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। অপরদিকে নিম্ন আয়ের দেশগুলো যথেষ্ট সরবরাহের অভাবে প্রতি ১০০ জন নাগরিকের জন্য মাত্র ১.৫ ডোজ ভ্যাক্সিনের জোগান দিতে পেরেছে।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের জন্য কিছু দেশ বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। সম্প্রতি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ ভ্যাক্সিনের তৃতীয় ডোজ নিয়ে ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। জুলাইয়ে আমেরিকা ফাইজার ও বায়োনটেক এর সাথে নতুন করে ২০০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাক্সিনের চুক্তি করেছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের মধ্যেই বুস্টার ডোজ দেয়া প্রয়োজনীয়তা এখনো বিতর্কিত বিষয়। সারাবিশ্বে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার। এই মুহূর্তে ভ্যাক্সিনের বৈশ্বিক উৎপাদনের অধিকাংশই নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে দেওয়া প্রয়োজন।
‘মেডিসিন সানস ফ্রন্টিয়ার’ এর সংক্রামক রোগ বিষয়ক উপদেষ্টা এলিন হফম্যান ডাহল বলেন, “এভাবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আবির্ভাবের সাথে সাথে আমরা যদি বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া থেকে বিরত রাখি, তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের অবশ্যই নতুন ভ্যাক্সিনের প্রয়োজন হবে।”
নিবির রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক, বায়ো ডেইলি